শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ১৯ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাদ, সুন্দর ও দাঙ্গামুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাসার ছাদে আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু রেমাল পরিণত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে, মহাবিপদ সংকেত বাহুবলে ৫ আওয়ামীলীগ নেতাকে হারিয়ে আলেম চেয়ারম্যান নির্বাচিত শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাস যোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর- এসপি আক্তার হোসেন জনগণ যাকে ভালবাসবে, দায়িত্ব দিতে চাইবে, তাকেই দেবে- জেলা প্রশাসক বাহুবলে বিয়ের আনন্দ-ফুর্তি চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবতীর মুত্যু বাহুবল উপজেলা নির্বাচন : ২০ প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ বাহুবল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জামায়াতের ২৫ নেতাকে নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ চেয়ে আবেদন

তরফ নিউজ ডেস্ক : জামায়াত ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনের চার ব্যক্তির আবেদন না মঞ্জুরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) উপস্থাপন করা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির। তিনি জানান, আজ আবেদনটি উপস্থাপনের পর আদালত আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তা কার্য তালিকায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বৈঠক জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে কোনো আইনগত কোনো সুযোগ নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাই দলটির প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো বাধা থাকছে না বলেও জানিয়েছিল ইসি।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করলেও তাদের ২৫ নেতা এবারের ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ২২ জন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং বাকি ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। জামায়াতের নেতাদের প্রার্থিতার সুযোগ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে সম্প্রতি সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী ওই ২৫ জনের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে তিন কার্য দিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন আদালত।

এর প্রেক্ষিতে ইসি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠকের পর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দলটির প্রার্থীরা যেহেতু স্বতন্ত্র এবং অন্য একটি দলের প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তাই তাদের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর দলীয় প্রার্থী হতে হলে তিন বছর সংশ্লিষ্ট দলের সদস্য পদে থাকার বিধানটি [১২ এর দফা ১ (ঞ)] বিলুপ্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করে সংসদীয় কমিটি। এ প্রতিবেদন সংসদে তোলেন তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বী মিয়া।

পরবর্তীতে বিধান তুলে দেওয়ায় ডিগবাজির পথ খুলে যায়। ফলে বর্তমানে যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো দল থেকেই সংশ্লিষ্ট দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। আর এই সুযোগটিই নিয়েছেন জামায়াতের নেতারা। একই পথে হেঁটে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও গোলাম মাওলা রনিরা।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তথ্য সূত্র  : বাংলানিউজ২৪

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com